যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মাঝআকাশে ভয়াবহ বিপর্যয় এড়াল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে বিমানটি ২১৯ যাত্রী নিয়ে ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় । পাইলট গুরুতর অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ‘মেইডে’ সংকেত পাঠান।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, “ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর ১০৮ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জার্মানির মিউনিখের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর, যখন বিমানটি প্রায় ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন হঠাৎ বাম পাশের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে”।
সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারে সংকেত পাঠান পাইলট- ‘ইঞ্জিন বিকল, বাম ইঞ্জিন। ইউনাইটেড ১০৮ জরুরি ঘোষণা করছে। মেইডে, মেইডে, মেইডে।’ বিমান নিয়ন্ত্রক পাইলটকে তখন নির্দেশ দেন ডানদিকে ঘুরে আবার ডালাসে ফিরে আসার জন্য।
ফ্লাইটরাডার২৪–এর তথ্যমতে, সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে ফ্লাইটটি ডালাস থেকে উড্ডয়ন করে এবং এক প্রকার বৃত্তাকার পথে উড়ে আবার ডালাসে ফিরে আসে। অবতরণ করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণের পরই দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও রেসকিউ টিম এসে বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং সেটিকে গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের অন্যান্য ফ্লাইট চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি এবং সবাই নিরাপদে স্বাভাবিকভাবে গেট দিয়ে বের হয়ে যান। পরে ফ্লাইটটি বাতিল করে যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে পাঠানো হয়। আকাশপথের যাত্রায় দক্ষ পাইলট ও কার্যকর সংকেত ব্যবস্থার গুরুত্ব কতটা অপরিসীম, ঘটনাটি আবারও তা স্মরণ করিয়ে দিল।
Leave a comment