‘পুরো পৃথিবী এক দিকে আর আমি অন্য দিক, সবাই বলে ভুল, আর তোরা বলিস ঠিক। তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই থাকবি…বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে… আর কী লাগে?’
দুঃখে-সুখে, রাগে-ভালোবাসায়, নিরব প্রতিশ্রুতি হয়ে বন্ধুরাই পাশে থাকে। আজ রোববার, ৩ আগস্ট- বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বন্ধু দিবস’।
বন্ধুত্ব উদ্যাপনের এই বিশেষ দিনের সূচনা ১৯৩৫ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘কংগ্রেস’ আগস্টের প্রথম রোববারকে জাতীয় বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের একাকীত্ব আর সামাজিক অস্থিরতা দূর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এক সময় দক্ষিণ আমেরিকা, বিশেষ করে প্যারাগুয়ে ও দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা পায় এ দিবসটি ।
কথিত রয়েছে, ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। বন্ধুর মৃত্যুর শোকে আরেক বন্ধু আত্মহত্যা করলে এটি বড় ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর সম্মানে মার্কিন কংগ্রেস আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
তবে ইতিহাসের আরেকটি সূত্র অনুযায়ী, ১৯১৯ সাল থেকেই আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধুরা একে অপরকে কার্ড, ফুল বা ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে প্যারাগুয়ের এক শান্তি সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড’ ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে প্রস্তাব করে। এই প্রস্তাব ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘে গৃহীত হয়।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি অনুযায়ী ৩০ জুলাই’ বিশ্ব বন্ধু দিবস হলেও বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশে আগস্টের প্রথম রোববার দিনটি উদ্যাপিত হয়। কোথাও কোথাও আবার ৮ এপ্রিলেও বন্ধু দিবস পালন করা হয়।
তবে দিন বা তারিখ যাই হোক, বন্ধুত্বের বাঁধন অটুট থাকুক সবসময়। প্রতিটি দিনই হোক বন্ধু দিবস।
Leave a comment