উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: পরিবারের কাছে হস্তান্তর ৮ মরদেহ

মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে ওই আটজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে।

তারা হলেন- বাগেরহাট জেলার গণি শেখের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৯), বরিশাল জেলার সামিউল করিম (৯), কুষ্টিয়া জেলার রজনী ইসলাম (৩৭), টাঙ্গাইলের মেহনাজ আফরিন হুরায়রা (৯), ঢাকার রফিক মোল্লার মেয়ে শারিয়া আক্তার (১৩), ঢাকার নুসরাত জাহান আনিকা (১০), ঢাকার মুকুল সালাউদ্দিনের ছেলে সা’দ সালাউদ্দিন (৯) ও গাজীপুর জেলার শাহ আলমের মেয়ে সায়মা আক্তার (৯)।

আইএসপিরআর জানিয়েছে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ মর্গে রয়েছে । এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম জানান, পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ চাইলে সুরতহাল করার পরে মরদেহগুলো দিয়ে দিই আমরা।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.শাওন বিন রহমান মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভোর পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায় ৯ বছরের শিশু বাপ্পি। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

এর আগে, রাত সোয়া ৩টার দিকে তিনি জানান, মারা গেছেন আরও চার শিক্ষার্থী । তারা হলেন—এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও সায়ান ইউসুফ (১৪)। এরিকসন শরীরের ১০০ শতাংশ, আরিয়ানের শরীরের ৮৫ শতাংশ, নাজিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ এবং সায়ান ইউসুফের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এ ছাড়া, রাত একটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.শাওন বিন রহমান জানান, এরও আগে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফনান ফাইয়াজ, মাইলস্টোনের প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সামিনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের ওপর বিমান বাহিনীর এটি জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হয়।