মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বপ্নের প্রকল্প ‘ন্যাশনাল গার্ডেন অফ আমেরিকান হিরোজ’ বাস্তবায়নের পথে এক ধাপ এগিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই)‘One Big Beautiful Bill Act’ পাস হয়েছে, যার আওতায় ভাস্কর্য নির্মাণে ৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ।
২০২৮ সাল পর্যন্ত এই তহবিল ন্যাশনাল এন্ডাউমেন্ট ফর দ্য হিউম্যানিটিজ (NEH)-এর মাধ্যমে ব্যবহৃত হবে। NEH এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
প্রথম দফায় ২৫০ জন ‘ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ আমেরিকানের মূর্তি স্থাপন করা হবে, যাঁরা সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে অবদান রেখেছেন। নামের তালিকায় আছেন:
জন অ্যাডামস
• ক্লারা বার্টন
• রাইট ব্রাদার্স (অরভিল ও উইলবার)
• জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার
• মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
• শিক্ষিকা ক্রিসটা ম্যাকঅলিফ
ট্রাম্পের ২০২১ সালের এক নির্বাহী আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল মোট ২৪০ জনের নাম ।
এপ্রিল মাসে NEH জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বাগান ২০২৬ সালে নির্মিত হবে। তবে বাগানটি কোথায় নির্মিত হবে— এখনো চূড়ান্ত হয়নি সে সিদ্ধান্ত।
প্রত্যেক মূর্তির জন্য নির্বাচিত শিল্পীরা সর্বোচ্চ ২ লাখ ডলার পাবেন । একজন শিল্পী নির্মাণ করতে পারবেন সর্বোচ্চ তিনটি মূর্তি। মূর্তিগুলো হবে মার্বেল, ব্রোঞ্জ, তামা বা পিতলের তৈরি। ১ জুলাই ছিল আবেদন গ্রহণের শেষ সময় । শর্ত অনুযায়ী, শিল্পীদের হতে হবে মার্কিন নাগরিক।
২০২১ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, “এটি হবে এমন এক স্থান, যেখানে তরুণ-প্রবীণ সবাই এসে নিজেদের ভবিষ্যতের ওপর বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে এবং আমেরিকার গৌরবকে অনুভব করতে পারবে। ‘দেশপ্রেম’ এবং ‘মূল্যবোধের’ স্থায়ী প্রতীক হবে এই বাগান ।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমাদের ইতিহাস যখন কেউ মুছে ফেলতে চায়, আমেরিকানরা তখন আবার নতুন করে গড়ে তোলে। যেমন, হোয়াইট হাউস আগুনে পোড়ার পর তা আবার গড়া হয়, বা ৯/১১ সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ‘ফ্রিডম টাওয়ার’ তৈরি হয়েছে।”
Leave a comment