নড়াইলের লোহাগড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সালমা বেগম নামে এক নারী । জানা গেছে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ।
নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। লোহাগড়া থানার ওসি মো. শরিফুল ইসলাম রোববার (১৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিকটকের মাধ্যমে প্রায় দেড় বছর আগে সালমা নামে ওই নারীর সাথে পরিচয় হয় লোহাগড়া উপজেলার শাহাবুর শেখের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এর কিছু দিন পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
এর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল সালমা বেগমের। এদিকে শাহাবুল শেখেরও স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। সালমাকে বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয় তাদের পরিবারের মধ্যে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমা বেগম।
তবে নিহত সালমার পরিবারের দাবি স্বামী শাহাবুর শেখ এবং তার পরিবারের লোকজন তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
ওই গৃহবধূর দেবর টিপু শেখ বলেন, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তার ভাবী এবং তার ভাইয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তার ভাই শাহাবুল শেখ চাকরি করেন জাহাজে। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন। তিনি দাবি করে বলেন সালমা বেগমকে তারা কেনো প্রকার নির্যাতন করেনি । লোহাগড়া থানার ওসি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a comment