রাশিয়ার অভ্যন্তরের চারটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে । এতে রাশিয়ার ৪০টিরও বেশি সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো ও রিয়াজান অঞ্চলে শনিবার (৩১ জুন) রাতে একযোগে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলার ঠিক দুই দিন পর সোমবার ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
হামলার সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সাইবেরিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের বেলায়া বিমানঘাঁটিতে একাধিক বিস্ফোরণের দৃশ্য এবং সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মুরমানস্কের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতেও কয়েকটি বিমানে হামলা হয়। ইউক্রেন জানিয়েছে, এই অভিযানে তারা ৪৭২টি ড্রোন ও সাতটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং ৩৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।
এসবিইউ বলছে, এই অভিযানে রাশিয়ার ‘বিয়ার’ নামে পরিচিত কৌশলগত বোমারু বিমান টিইউ-৯৫এস, সুপারসনিক বোমারু টিইউ-২২এম৩এস এবং রাডার বিমান এ-৫০ ধ্বংস হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, এ হামলায় রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
আজ সকালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও পাঁচটি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুর অঞ্চলে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালানো হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের দাবি, এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং বেলায়া বিমানঘাঁটির কাছে কয়েকটি বিমানে আগুন লাগলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে , হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ একটি ট্রাকের চালককে আটক করেছে। এই হামলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা ।
Leave a comment