জাতীয় নির্বাচন সুপরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তার উপর এখন এক কালো ছায়া নেমে এসেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে এবং তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে। তার ভাষায়, “গোত্রে গোত্রে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে সরকারের ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। এমন কিছু লোক সরকার ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করে বাংলাদেশকে অন্য পথে ঠেলে দিতে চাইছে।”
বিএনপি মহাসচিব দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র রক্ষায় যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সভায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দল ঘোষিত কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। আট দিনব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হবে ২৫ মে থেকে। এর মধ্যে ২৭ ও ২৮ মে রাজধানীতে তারুণ্যের সমাবেশ, ২৯ মে বিকেলে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা এবং ৩০ মে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের হাতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন এক সেক্টরের কমান্ডার এবং পরে ‘জেড ফোর্স’-এর প্রধান। বিএনপি প্রতিবছর দিনটিকে তাঁর শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে থাকে।
Leave a comment