রাজশাহীর বাঘায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন জাহেদুল ইসলাম শান্ত (২৭) নামের এক ব্যক্তি। এ দুর্ঘটনায় তার মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুনের (৫) একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জাহেদুলের স্ত্রী জেসমিন আক্তারও (২৪) গুরুতর আহত হয়েছেন।
বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহিদুল।
তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনায় জাহেদুল ও তার মেয়ের ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চিকিৎসকরা শেষ পর্যন্ত জাহেদুলকে বাঁচাতে পারেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে জাহেদুল মোটরসাইকেলযোগে মেয়ে তুরাইফাকে বাঘা উপজেলার একটি স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী জেসমিন। বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুপার সনি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘বাসের চালক ও হেলপার দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
Leave a comment