বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিল্লি ও কলকাতা সফরের সম্ভাবনা ঘিরে আলোচনার ঝড় বইছে দুই বাংলায়। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নিউজ১৮’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই ভারতে আসতে পারেন জয়, যা বাস্তবায়িত হলে এটি হবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর মা-ছেলের প্রথম সাক্ষাৎ।
প্রতিবেদনে সাংবাদিক কমলিকা সেনগুপ্ত উল্লেখ করেছেন, এই সফর এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতারা এই সফরকে দেখছেন নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হিসেবে।
নিউজ১৮-এর বরাতে জানা যায়, দলের এক সাবেক মন্ত্রী আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি জয় তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আমাদের সাথেও আলোচনা করবেন। এই সফর শুধু পারিবারিক পুনর্মিলন নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করবে।”
একইসঙ্গে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘বর্তমান’ পত্রিকাও জানায়, সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেছেন, যা তাঁর আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
এদিকে এই খবর সামাজিক মাধ্যমে আরও জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যখন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়ন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই সম্ভাব্য সফর সম্পর্কে আভাস দেন। যদিও বাংলাদেশ বা ভারতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জয় তাঁর মায়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেননি। হাসিনা বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন, আর জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাঁদের সাক্ষাৎ যদি সত্যি ঘটে, তবে তা শুধু পারিবারিক আবেগের পুনরুত্থান নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানোর সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে।
এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের রাজনীতি নিষিদ্ধ দল, নির্বাসন, ও বিদেশে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে চলছে, ঠিক তখনই শেখ হাসিনার পুত্রের ভারত সফরকে ঘিরে দলে নতুন প্রাণ ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। এই সফরের মধ্য দিয়ে জয় রাজনৈতিকভাবে আরও সক্রিয় হবেন কি না— সে প্রশ্নও এখন আলোচনা ও জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
Leave a comment