মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতির জন্য থামা পিকনিকের লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রোববার (১১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মারধরকারী তরুণ নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদের নামে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলাটি হয়েছে। এতে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় নেহাল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে ওই ঘটনায়, গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ নেহালকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আটক করে। নেহাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার বাসিন্দা। তাকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে একটি পিকনিক লঞ্চে প্রকাশ্য দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি ক্যাপ্টেন নামের ওই লঞ্চে দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন এক তরুণ। সে সময় স্থানীয় লোকজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে।
অভিযুক্ত যুবক নেহাল বলেন, ‘আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত । ঘটনা সম্পর্কে যুবকের দাবি, ‘স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক দুই তরুণীর পোশাক, আচরণ ও চলাফেরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। মেয়েগুলোকে রক্ষার্থে আমি শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি।’
সে আরও বলেন , ‘আমি এটা না করলে মানুষজন তাদেরকে আরও বেশি হেনস্তা করতো। তাছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত নয়টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি।’
মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। এর কয়েক ঘণ্টা না যেতেই পদক্ষেপ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Leave a comment