কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে আটককৃত এক আসামির আচরণ। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পালপাড়া বাজারের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, এক মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া আশিক (২৫) নামের এক যুবক হাতুড়ি দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমলা হঠাৎপাড়া এলাকা থেকে আশিককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে আমলা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুস্তম আলী। তাঁরা মোটরসাইকেলে করে আশিককে মিরপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পালপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে আশিক হঠাৎ চিৎকার করে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন।
মোটরসাইকেল থামানো মাত্রই আশিক কোমর থেকে একটি লুকানো হাতুড়ি বের করে হঠাৎ এসআই মনিরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন। তাঁর মাথায় থাকা হেলমেটটি ভেঙে যায়। এরপর আশিক পেছনে বসা কনস্টেবল রুস্তম আলীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন।
আশপাশের স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে আহত কনস্টেবলকে উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে থানার আরও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রুস্তম আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে আশিককে আটক করা হয়েছিল। তবে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে সে আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। হামলায় কনস্টেবল সামান্য আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশিক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশ্ন উঠেছে—একজন আটককৃত ব্যক্তি কীভাবে পুলিশি হেফাজতে থেকেও অস্ত্র ব্যবহার করতে পারল। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আসামি তল্লাশির পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবনার সুযোগ তৈরি করেছে।
Leave a comment