ঝালকাঠিতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে এক নারীকে (২৩) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিনুল ইসলাম ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নাসিমুল হাসান।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পাওতা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, একই বছরের ২১ নভেম্বর একটি ভাড়া বাসায় তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যবসায়ী। এ মামলায় ওই ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রায় দুই মাস কারাভোগ করে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক কে এম মফিজুর রহমান ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ফরেনসিক প্রতিবেদনে ধর্ষণের সত্যতা পায়নি। এরপর ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়েরের অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সেই মামলায় আজ হাজিরা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন চেয়েছিলেন ওই নারী। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামানকে। তিনি নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মামলায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী দাবি করেন, ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের প্ররোচনায় ওই নারী মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন।
পিপি নাসিমুল হাসান বলেন, ধর্ষণ মামলাটি আদালতের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Leave a comment