সিলেট নগরীতে ফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের ঘটনায় শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে চলা বিক্ষোভের সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা, যারা কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা নয়াসড়ক এবং মিরবক্সটুলাস্থ হোটেল রয়েল মার্ক। হোটেলটির একাধিক রেস্টুরেন্ট ও কফিশপে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়, এবং লুট করা হয় নগদ অর্থসহ নানা মালামাল।
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদ। তারা বলেন, একটি সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারী চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খায়রুল হোসেন, বিএনপির নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম, এবং কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
হোটেলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, হোটেলের রিসিপশন, লিফট, সাব-স্টেশন, এবং ছয়তলা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এধরনের ঘটনা সিলেটের সামাজিক শান্তি ও ব্যবসায়ী পরিবেশকে বিনষ্ট করছে।”
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে।
Leave a comment