ভারতের নাগরিক বিজলি রায় (৪০) চার বছর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ছয় মাসের সাজা পান। তবে, পরিবারের খোঁজ না মেলায় তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি। অবশেষে যখন ফেরার সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত হলো, ততক্ষণে তিনি আর বেঁচে নেই।
আজ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বিজলির বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার চক জামাল গ্রামে। তার পরিবারের সন্ধান বের করেন সাংবাদিক শামসুল হুদা, যিনি এর আগেও বাংলাদেশ-ভারতের কারাগারে আটক ৪৩ জনকে পরিবারের কাছে ফিরতে সহায়তা করেছেন।
২০২৪ সালের শেষ দিকে বিজলির পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেলেও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার কারণে দেরি হয়। এর মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১৫ জানুয়ারি মারা যান।
সাংবাদিক শামসুল হুদা জানান, জীবিত অবস্থায় বিজলিকে ফেরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি লড়াই চালিয়ে যান। ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তায় দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে আজ শুক্রবার বিজলির লাশ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
Leave a comment