দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তবে ভয়ের কারণে বা সামাজিক মর্যাদা রক্ষার চিন্তায় অনেকেই এসব ঘটনা প্রকাশ করতে চান না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা এমনকি শিশুরাও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজের অস্থিরতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। দেশে যা চলছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে তাঁকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ওই নারী ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এই নির্মম ঘটনা ঘটায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে নৈতিক অবস্থানে আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করতে হবে।’’
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এতে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন পুরো জাতির জন্য উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবার, নিকটজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Leave a comment