ঢাকার অদূরে সাভারের শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় তিন দিনে তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের বয়স ৮ থেকে ১৪ বছর। তিনটি মামলায় আসামিরা ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয়। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনায়, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার সৎবাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর মা আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক বছর ধরে হুমকি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি পারিবারিক ঝগড়ার সময় বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
দ্বিতীয় ঘটনায়, ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা জানান, তার দ্বিতীয় স্বামী রোববার রাতে শিশুটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
তৃতীয় ঘটনায়, ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দূরসম্পর্কের এক চাচার (১৯) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিশুটির বাবা জানান, গত সোমবার সকালে শিশুর মা-বাবা কর্মস্থলে গেলে অভিযুক্ত চাচা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব অভিযুক্তকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম বলেন, ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা জড়িত থাকে। সমাজে নারীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও যৌন হয়রানিকে প্রশ্রয় দেওয়া এসব অপরাধের ভিত্তি তৈরি করে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন জানান, তিনটি মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং যেকোনো সন্দেহজনক ঘটনা হলে পুলিশকে দ্রুত জানানোর আহ্বান জানান।
Leave a comment