বিশ্বরাজনীতি এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপ সফর করেছেন এবং মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য তৎপর। অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর নতুন আক্রমণ জোরদার করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের শান্তি আলোচকদের মধ্যে আলোচনা হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি অবমাননাকর আক্রমণের পর, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করেছে। ট্রাম্পের ডেমোক্রেটিক বিরোধীরা দাবি করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা গড়েছেন। তবে, ট্রাম্প সৌদি আরবে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন। গত সপ্তাহে তিনি রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন, যা রাশিয়ার অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
রাশিয়া সামরিক হামলা চালানোর পাশাপাশি, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিভেদের সুযোগ নিচ্ছে। রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে, এবং যুদ্ধবিরতির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর শান্তির উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁও বলেছেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমে আসায়, পুতিন এই পরিস্থিতিতে খুশি হতে পারেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য বারবার অঙ্গীকার করেছেন, তবে পশ্চিমা সামরিক সহায়তার কমতি অনুভূত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রভাবশালী কোনো সমঝোতা হয়নি, তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ইউরোপের দেশগুলো এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সমর্থনে একটি নতুন জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, ইউরোপের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, তারা কিভাবে নিজেদের রক্ষা করবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে না থাকে? ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে কোটি কোটি ইউরো ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে।
Leave a comment