চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম মল্লিক হত্যার শিকার হন। গত শনিবার, প্রকাশ্যে শতাধিক মানুষের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পেছনে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে এক গোপন বৈঠক আয়োজন করেছিলেন এই দুই নেতা, যেখানে রফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরদিন সকালে, রফিকুলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, এসময় তার সহোদরসহ চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে শফিকুল ইসলামকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রফিকুলের ছেলে রাব্বী হোসাইন জানিয়েছেন, খুনের পরিকল্পনা শুক্রবার রাতে জানাজানি হয়েছিল, তবে তাঁর বাবা তা গুরুত্ব দেননি। নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন অভিযোগ করেন, টিসিবির কার্ড নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। তিনি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এদিকে, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রফিকুলের পরিবার বর্তমানে গভীর সংকটে পড়েছে, এবং তাঁর হত্যার ফলে পরিবারটি এক বিশাল শূন্যতার মধ্যে পড়েছে।
Leave a comment