গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড, তিনি মনে করেছিলেন, ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেরা প্রার্থী। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গ্রগনার্ড বুঝে ফেলেছেন, তিনি কত বড় ভুল করেছেন। সম্প্রতি, তিনি মার্কিন কৃষি বিভাগে আইনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, তবে এখন চাকরি হারিয়েছেন।
গ্রগনার্ড সিএনএনকে জানান, তিনি অফিসের ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছিলেন যে তাঁর চাকরি নিরাপদ থাকবে, কিন্তু এই অবস্থায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন। একসময়, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এই চাকরি করে জীবনের বাকি সময় কাটাবেন, কিন্তু এখন তা শেষ হয়ে গেছে।
অনেক ফেডারেল কর্মীই ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তাঁদের চাকরি চলে গেছে। অনেক কর্মীই বিশ্বাস করেছিলেন, ট্রাম্পের নীতি তাঁদের মূল্যবোধের সঙ্গে একীভূত হবে এবং তাঁদের জীবনমান উন্নত করবে। কিন্তু এখন কাজ খুঁজে পেতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন সারা দেশে কর্মীদের চাকরি ছাড়াতে শুরু করেছে। সিএনএন জানায়, এর মধ্যে ৭৭ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং হাজার হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো এবং জনশক্তির আকার হ্রাস করা।
গ্রগনার্ড বলেন, তিনি সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা সমর্থন করতেন, কিন্তু যেভাবে তা করা হচ্ছে, তাতে তিনি একমত নন। তিনি বলেন, “আমি ভোট দিয়েছিলাম আশা করে যে এটি যুক্তিসংগত উপায়ে করা হবে, কিন্তু তা ঘটেনি।”
এই পরিস্থিতিতে অনেক কর্মী এখন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছেন।
Leave a comment