যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইউক্রেন থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের বার্তা দিচ্ছেন, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ঠিকই পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈঠকে উত্তপ্ত পরিবেশ ও বাক্য বিনিময় অনেককেই অবাক করলেও ইউরোপ স্পষ্ট করেছে, তারা পিছু হটছে না।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়াতে এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরদারে ঋণনীতি শিথিল করে ১৫ হাজার কোটি ইউরো ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ। এর বড় অংশই খরচ হবে ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ সহায়তায়।
তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান—যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত—এই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, “ইউক্রেনে যা ঘটছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতেই হবে।”
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ জানান, “পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই আমরা ঋণনীতিতে ছাড় দিয়ে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তা বলেন, “আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটাই বাস্তবায়ন করছি। ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
গত তিন বছর ধরে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে ধারাবাহিকভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের উদাসীনতায় এবার সেই সহায়তায় আরও গতি আনতে চায় ইইউ।
Leave a comment