ফ্রান্সে স্ত্রীকে ধর্ষণে প্ররোচনা দিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ডমিনিক পেলিকোতের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন তারই মেয়ে ক্যারোলিন ড্যারিয়ান। বাবার বিরুদ্ধে মাদক খাইয়ে অচেতন করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ৪৬ বছর বয়সী ড্যারিয়ান।
ড্যারিয়ান জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের কাছ থেকে বাবার সংগ্রহে থাকা যে ছবিগুলো তিনি দেখেছেন, সেগুলোই প্রমাণ করে তিনি মাদকের প্রভাবে অজ্ঞান ছিলেন এবং বাবা তার ওপর নির্যাতন চালান। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডমিনিক পেলিকোত।
ডমিনিক পেলিকোতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ এক দশক ধরে স্ত্রী জিসেল পেলিকোতকে মাদক দিয়ে অচেতন করে অন্তত ৫০ জন পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করাতেন তিনি। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখতেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে অংশ নিতে আহ্বান জানাতেন অনলাইনের মাধ্যমে। অভিযুক্তদের মধ্যে দমকলকর্মী, গাড়িচালক, সেনাসদস্য, নিরাপত্তারক্ষী ও সাংবাদিকও ছিলেন।
বাবার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ড্যারিয়ান বলেন, ‘আমি জানি তিনি আমাকে মাদক দিয়েছিলেন, সম্ভবত যৌন নির্যাতনের জন্য। ছবিগুলো দেখেই আমি হতবাক হয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে ডমিনিক পেলিকোতের আইনজীবী বিট্রিস জাভারো বলেছেন, ড্যারিয়ানের অভিযোগ “অবিশ্বাস্য” এবং আগের বিচারেও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মায়ের মামলার বিচারে ড্যারিয়ান এবং তার বাবার মধ্যকার আদালতকক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। তখন বাবাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, “আমি কখনো তোমাকে স্পর্শ করিনি, কখনোই না। তুমি মিথ্যা বলছো!”
ড্যারিয়ান জানান, মায়ের বিচারকাজ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি গভীর শূন্যতা ও অবিচারের অনুভূতিতে ভুগছেন। এবার নিজের অভিযোগ দায়ের করে তিনি ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আছেন।
তিনি বলেন, “একজন ভুক্তভোগী হিসেবে সম্মান ও স্বীকৃতি আমার প্রয়োজন। জানি, পথ অনেক দীর্ঘ। তবে এ অভিযোগ শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, বরং সব নির্যাতিতার জন্য একটি বার্তা।”
Leave a comment