বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন বা নিপীড়নের শিকার না হয় এবং তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত।
এদিন (৭ মার্চ) নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন, যা নারীদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেয় এবং সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে।”
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল।”
তিনি জানান, “খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, এবং মেয়েদের জন্য নতুন ক্যাডেট কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছিল।”
তারেক রহমান বলেন, “নারী সমাজের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। নারীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।”
তারেক রহমান নারীর অধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে নারীর অধিকার অপরিহার্য শর্ত।”
তিনি আহ্বান জানান, “নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।”
Leave a comment