অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাছের বখতিয়ার আহমেদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ব্যাব) এবং ফ্যাসিজম ও বৈষম্যবিরোধী নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রক্ষার পক্ষে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, যা জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী।
শনিবার (১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে বখতিয়ার আহমেদ অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছেন এবং ব্যাংকের শৃঙ্খলা ও কার্যক্রম ব্যাহত করছেন।
ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সদস্যসচিব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এভিপি মোহাম্মদ জাইদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আবুল বাশার, অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম মো. সুজাউদ্দৌলা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আবু জাফরসহ বিভিন্ন ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ব্যাংকাররা অভিযোগ করেন, সৈয়দ আবু নাছের বখতিয়ার আহমেদ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে স্বৈরাচারীভাবে ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি ব্যাংক কম্পানি আইন ও বিআরপিডি সার্কুলার লঙ্ঘন করে দৈনন্দিন কার্যক্রমে অন্যায় হস্তক্ষেপ করছেন, যা ব্যাংক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “গত ১৫ বছরের দুঃশাসন, খুন, গুম, ধর্ষণ ও আয়নাঘরের নৃশংসতার বিরুদ্ধে তিনি কোনো অবস্থান নেননি। কিন্তু এখন স্বৈরাচার পতনের পর ব্যাংক খাতকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
বক্তারা বলেন, সৈয়দ আবু নাছের বখতিয়ার আহমেদ সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রক্ষার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, যা জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তি আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী।
সভায় বক্তারা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সৈয়দ আবু নাছের বখতিয়ারের কর্মকাণ্ড ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে ব্যাংক খাতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।”
ব্যাংকাররা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।
Leave a comment