বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচার পালালেও গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।” তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে, এবং পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা নানা কৌশলে পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তার ভাষায়, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত সংসদ এবং সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্রের ঝুঁকি শেষ হবে না।
আজ (শুক্রবার) চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা বিএনপি বিশ্বাস করি, দল-মত, ধর্ম-দর্শন যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।” তিনি যুক্ত করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ, এবং এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি নিরাপদ গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে বিএনপি সবার সমর্থন চায়।
তারেক রহমান বলেন, গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে এক নৃশংস স্বৈরাচার জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানর মাধ্যমে জনগণ ওই স্বৈরাচারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। তিনি উল্লেখ করেন, “আপনাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গত ১৭ বছর ব্যবহার করা হয়েছে, আর এই সত্য যদি সনাতনী ধর্মের অনুসারীরা বুঝতে পারেন, তাহলে এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হবে।”
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে, “সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু কেউই নিরাপদ নন।” তার মতে, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
সন্তানী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, “পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা তাদের ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা কিছুটা হলেও অবৈধ লোভ বা অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দ্বারা ঘটানো হয়েছে।” তিনি এও বলেন, “ধর্মীয় পরিচয় যেন কেউ ভবিষ্যতে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আপনাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।”
শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু—এটি দেশের জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য একটি শব্দ মাত্র। বাংলাদেশে, প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র গর্বিত পরিচয় বাঙালি নয়, বাংলাদেশি।”
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a comment