সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি, তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়। এটি কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলগুলো সংবিধান সংশোধন করেছে, যেখানে জনগণের প্রত্যক্ষ মতামতের প্রতিফলন ছিল না। এ ধরনের একচেটিয়া পরিবর্তন ঠেকাতেই গণভোটের সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের পরিস্থিতিতে সংবিধান সংস্কারের বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাসের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ শতাংশ তরুণ-তরুণীর মনোনয়ন বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি তরুণদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার একটি পদক্ষেপ।
বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ভাষা, সংস্কৃতি, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ও ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে শুধু স্বীকার করাই নয়, বরং সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য।
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে এটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার সম্পর্কে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের সম্ভাব্য নির্বাচনের জন্য কিছু সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে জালিয়াতির নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
Leave a comment