সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থের বিনিময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে, তার বিদেশ ভ্রমণে রাষ্ট্রীয় অর্থের ‘অপচয়’ হয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ভুয়া’ ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন, যা নিয়মবহির্ভূত ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংগৃহীত। তদন্তাধীন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ডিগ্রি হলো—ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট।
দুদকের মতে, শেখ হাসিনার এসব ডিগ্রি অর্জনে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা ‘জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’। এছাড়া, বিদেশে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ ও বিলাসী ভ্রমণের বিষয়টিও তদন্তের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, “গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সব তথ্য পর্যালোচনা করেই প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
দুদক জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতাও নেওয়া হবে।
Leave a comment