জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ২৪ ঘণ্টার অনশনের পর গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—তেঘরিয়ায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুত সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর, পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু এবং ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা।
ক্যাম্পাসে দেখা গেছে, প্রধান ফটকের ‘পকেট গেট’ খোলা থাকলেও মূল ফটক বন্ধ থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন বিভাগ, যেমন গণিত, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন, বাংলা, এবং মার্কেটিংসহ আরও বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে নিজ নিজ বিভাগে তালা ঝুলিয়েছেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। আমরা গত রাতেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছি।”
২০১৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার যে পরিকল্পনা ছিল, তা এখনও পূর্ণ হয়নি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও ১১ একর জমি এখনও বুঝে পায়নি কর্তৃপক্ষ।
গত আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। একাধিকবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার পাশাপাশি সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেন। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মতি জানান। তবে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনশন ও শাটডাউনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Leave a comment