বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে এই সাক্ষাৎ ঘটে এবং তাদের কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেছে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম গাইডও ফোকস।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হাসিনার শাসনামলে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একাধিক হত্যা মামলার আসামি। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার তিন দিন পর, ৮ ডিসেম্বর, লন্ডনে হাসিনা-সমর্থিত একটি সমাবেশেও অংশ নেন আনোয়ারুজ্জামান।
গাইডও ফোকসের মতে, আনোয়ারুজ্জামান টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে টিউলিপ তাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে ‘আনোয়ার মামা’ বলে সম্বোধন করেন। তবে টিউলিপ বর্তমানে ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে আর্থিক দুর্নীতি এবং বাংলাদেশের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন মানবীয় বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
তদন্তের প্রেক্ষাপটে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্টারমারের আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।
টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন। তবে আনোয়ারুজ্জামানের মতো পলাতক নেতা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে।
Leave a comment