যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি ও পারিবারিক সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার মন্ত্রীত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। লেবার পার্টির নেত্রী শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রদের আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাসিনার ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে দান হিসেবে ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন এবং এসব সম্পত্তি থেকে ভাড়া আয় করছিলেন। এমনকি, তিনি তার পরিবারের সাথে যুক্ত কয়েকটি প্রকল্প থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে, যার মধ্যে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এদিকে, টিউলিপ দাবি করেছেন, মন্ত্রিপরিষদ অফিসে তিনি তার সমস্ত আর্থিক ও পারিবারিক সম্পর্কের বিবরণ আগেই জমা দিয়েছেন। তবে, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ের স্টারমারের নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তদন্ত শুরু করেছেন।
অভিযোগের কারণে টিউলিপের মন্ত্রিত্ব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি চীনে আসন্ন বাণিজ্য মিশনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন এবং মিডিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন না। অভিযোগের জবাব না দেওয়ার কারণে তার অবস্থান আরও চাপের মুখে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তদন্ত চলাকালীন টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। স্বচ্ছতা প্রমাণ হলে তার সরকারে ফেরার পথ উন্মুক্ত থাকবে। অন্যদিকে, পদে বহাল থাকলে তিনি এবং স্যার কিয়ের স্টারমার উভয়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।
প্রধানমন্ত্রী যদি টিউলিপের বদলে বিকল্প খুঁজতে চান, তাহলে এমা রেনল্ডস হতে পারেন সম্ভাব্য প্রার্থী। নগর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের জন্য এমা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিউলিপের পদত্যাগ কেবল তার নিজের জন্য নয়, সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্যও একটি বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত হতে পারে।
Leave a comment