ঢাকার আকাশ খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আলোকসজ্জায় ঝলমল করে ওঠে। মঙ্গলবার রাত ১২টা বাজতেই পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকা থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে আতশবাজি আর পটকার আওয়াজে ভরে ওঠে পরিবেশ। বাসার ছাদে ছোট-বড় সবাই মিলিত হয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন এবং নববর্ষ ২০২৫ কে স্বাগত জানান।
এদিকে সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বার্তায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধুম পড়ে যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বর্ষবরণে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সন্ধ্যা থেকে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়ে সীমিত পরিসরে নতুন বছর উদ্যাপন করেন।
অন্যদিকে, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে রাত ১১টার পর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষ এবং যানবাহনে এক পাশ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাত ১২টা বাজতেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন উপস্থিত জনতা।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল। অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান বা সমাবেশ আয়োজনেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।
তবুও, বর্ষবরণের উৎসব মানুষের উচ্ছ্বাসে নিষেধাজ্ঞার বাঁধ ভেঙে যায়। পুরান ঢাকা, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার ছাদগুলো থেকে আতশবাজির ঝলকানি দেখা গেছে। রাজধানীরসড়কেও মানুষের আনন্দের ঢল ছিল স্পষ্ট।
২০২৫ সালের শুরুতে ঢাকার আকাশ যেমন রঙিন হয়ে উঠেছিল, তেমনি উৎসবমুখর পরিবেশে নগরবাসীর উদযাপন অন্য রকম এক বার্তা দিয়েছে—সব বাধা পেরিয়ে আনন্দ ভাগাভাগির স্পৃহা অমলিন।
Leave a comment