বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৫ লন্ডন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্য জটিলতা বিবেচনায় এ সফর চূড়ান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার।
সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, “খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ৭ জানুয়ারিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছে।”
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। এছাড়া তিনি হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, কিডনি সমস্যা, বাত ও ডায়াবেটিসের মতো রোগেও ভুগছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে প্রথমে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুমুখী চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, অক্টোবরে, ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে খালেদা জিয়া একটি “দূরপাল্লার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে” লন্ডনে যাবেন।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের তালিকায় অন্তত ১৫ জন অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা রয়েছেন। এই তালিকা ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আগস্টে খালেদা জিয়া তার নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সংগ্রহ করেন। নভেম্বর মাসে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের ভিসাও তিনি পেয়েছেন। চিকিৎসার পর দেশে ফেরার পথে তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন সফরে যান।
বিএনপি সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অক্টোবরে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য যাত্রার ক্ষেত্রে সরকার তাকে ভিসা সহায়তা দেবে। সফরসঙ্গীদের মধ্যে তার পরিবারের সদস্য এবং ব্যক্তিগত সহকারীরাও থাকবেন।
খালেদা জিয়ার এই সফর এবং উন্নত চিকিৎসার পরিকল্পনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
Leave a comment