বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ডেইলি বাংলাদেশ নামক এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাফি ও তার মায়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, এই দাবিগুলি ভিত্তিহীন এবং অসত্য।
ডেইলি বাংলাদেশ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, রাফির নিজ বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৯৯৫৮৮৭১*) ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে এবং তার মায়ের অ্যাকাউন্টে (০১৭০৯১৯৭৩*) আরও ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে বিকাশের নিয়ম অনুযায়ী, এক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা তোলা যায়, যা এই দাবি নাকচ করার জন্য যথেষ্ট।
রাফির অ্যাকাউন্টে প্রকৃত লেনদেন
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে: রাফির বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৯৯৫৮৮৭১**) ১ আগস্ট থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩২,৬০২ টাকা।
২ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ১,৩৮,১৪৩ টাকা।
তার মায়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৭০৯১৯৭৩**) গত ছয় মাসে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২০ টাকা।
এই তথ্য বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশের রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্যগুলির সঙ্গে “বাংলাদেশ আর্কাইভ” নামে একটি ফেসবুক পেজের পূর্ববর্তী পোস্টের মিল পাওয়া গেছে। রাফি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টের লেনদেনের সব তথ্য প্রকাশ্যে রয়েছে। আমি সবসময় স্বচ্ছতার পক্ষে।”
তিনি নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টও শেয়ার করেছেন, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
\
বিকাশের নিয়ম অনুযায়ী: একজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা রাখা যায়।মাসে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা তোলা সম্ভব। তাই রাফি ও তার মায়ের অ্যাকাউন্টে উল্লেখিত সময়ে ৯২ লক্ষ টাকার লেনদেন হওয়া কার্যত অসম্ভব।
অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, রাফি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুল তথ্যের কারণে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
Leave a comment