এআই–বিপ্লবের অন্যতম নাবিক স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, আমরা ইতিমধ্যেই এমন এক পথে পা বাড়িয়েছি, যেখান থেকে ফেরার সুযোগ নেই। ওপেনএআইয়ের এই প্রধান নির্বাহী তাঁর সাম্প্রতিক ব্লগে লিখেছেন, মানুষ এখন ডিজিটাল সুপারইন্টেলিজেন্স তৈরির দ্বারপ্রান্তে। যদিও এখনো রাস্তায় হাঁটা রোবট, মহাকাশে যাওয়া কিংবা সব রোগমুক্ত পৃথিবীর বাস্তবতা আসেনি, তবুও এমন প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে, যা মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে অনেকের ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
অল্টম্যানের মতে, এআইয়ের হাত ধরে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হবে অভূতপূর্ব গতিতে, বাড়বে উৎপাদনশীলতা, উন্নত হবে জীবনমান। ২০২৫ সালে এআই এজেন্ট ইতিমধ্যেই জটিল চিন্তাশীল কাজ করতে পারছে, ২০২৬-এ নতুন আবিষ্কার সক্ষমতা আসতে পারে, আর ২০২৭-এ রোবট বাস্তব পৃথিবীতে মানুষের মতো কাজ করবে। ফলে ২০৩০-এর দশকে একজন ব্যক্তি একাই অনেক কিছু করতে পারবে, যা আগে সম্ভব ছিল না।
তবে এই সময়টিতে ছোট্ট ভুলও কোটি মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। একই সঙ্গে ধারণা দেন, তখন বুদ্ধিমত্তা ও শক্তি—আইডিয়া তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের ক্ষমতাই হবে উন্নতির চাবিকাঠি। এআইয়ের সহায়তায় এক বছরের গবেষণা এক মাসে শেষ হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রযুক্তি আত্মোন্নয়নের পথে দ্রুত এগোচ্ছে।
অল্টম্যান কল্পনা করেন, হিউম্যানয়েড রোবট নিজেদের উদ্যোগে সাপ্লাই চেইন চালিয়ে আরও রোবট, চিপ ফ্যাক্টরি ও ডেটা সেন্টার তৈরি করবে, যা অগ্রগতির গতি বহুগুণ বাড়াবে। যদিও অনেক চাকরি হারানোর শঙ্কা আছে, তবু দ্রুত সমৃদ্ধ পৃথিবীতে নতুন সামাজিক নীতির প্রয়োগ সম্ভব হবে। তাঁর মতে, আগামী সমাজে সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে সৃজনশীল ও কার্যকর আইডিয়া—যা মানুষকে দেবে এক নতুন দিগন্তের সুযোগ।
Leave a comment