মাত্র ১৫ বছর বয়সেই গানের স্বপ্ন পূরণের জন্য মা–বাবাকে রাজি করিয়ে কসোভো ছেড়েছিলেন ডুয়া লিপা। সেসময় ইউটিউবে কাভার গান প্রকাশ করে শুরু করেছিলেন সংগীতযাত্রা। আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পপ তারকা। ২২ আগস্ট জন্মদিনে ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করছেন স্বপ্নপূরণের এক অনন্য প্রতীক হিসেবে।
লন্ডনে জন্ম হলেও ডুয়ার শৈশব কেটেছে কসোভোয়। বাবা ডুকোজিন লিপার গান শুনেই বেড়ে ওঠেন। গান নিয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কিশোরী ডুয়া পরিবারকে রাজি করিয়ে আবারও লন্ডনে ফেরেন পড়াশোনার মাঝেই। খুব অল্প বয়সেই সিদ্ধান্ত নেন কেবল সংগীতেই মন দেবেন। লেখালেখি শুরু করেন, স্টুডিওতে কড়া নাড়েন, প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন। তাঁর আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তা ছিল অন্যরকম।
২০২০ সালের অ্যালবাম ফিউচার নস্টালজিয়া তাঁকে বিশ্বমঞ্চে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। মহামারির কঠিন সময়ে প্রকাশিত এ অ্যালবাম যেন শ্রোতাদের জন্য ছিল মুক্তির ডাক। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম, বিশ্ব সফর আর ভরা স্টেডিয়ামের কনসার্টে ডুয়া লিপা এখন বৈশ্বিক সংগীতের প্রতীক।
শিল্পী হিসেবে নারীদের বারবার প্রমাণ করতে হয়—এই বাস্তবতার বিরুদ্ধে তিনি সরব। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, পুরুষ শিল্পীরা যেসব কাজ করলে সহজেই কৃতিত্ব পান, নারী শিল্পীরা তা করলেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তবে এসব লড়াইকে তিনি দেখেন নতুন করে গড়ে ওঠার প্রেরণা হিসেবে।
গানের পাশাপাশি ডুয়া দাঁড় করিয়েছেন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম সার্ভিস৯৫। পডকাস্টে তিনি কথা বলেছেন প্যাটি স্মিথ থেকে শুরু করে টিম কুক পর্যন্ত। প্রেম, ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সামাজিক অন্যায়—সব প্রসঙ্গেই অকপট তিনি। গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, নিজের মত প্রকাশে কখনোই পিছপা হননি।
৩০ বছরে পা রাখা এই গায়িকা সম্প্রতি বিশ্ব সফর শেষ করেছেন র্যাডিক্যাল অপটিমিজম অ্যালবামের গান নিয়ে। প্রতিটি শহরে স্থানীয় গান গেয়ে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন। আবারও নতুন অ্যালবামের কাজে ব্যস্ত তিনি। তাঁর বিশ্বাস, বিকল্প ভাবলে হয়তো এতদূর আসা সম্ভব হতো না।
ডুয়া লিপা আজ শুধু একজন সংগীত তারকা নন, তিনি সাহস, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নপূরণের প্রতীক হয়ে উঠেছেন কোটি ভক্তের কাছে।
Leave a comment