পুলিশ, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীসহ (৬১) চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে । বুধবার (২৮ মে) হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় এ রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ।
রিমান্ড চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে বিকেলে এ রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো তারা। সেসময় সুব্রত বাইন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিলো । আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকেল ৩ টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।
এই আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের এ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হতে পারে।
Leave a comment