উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে সামরিক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১৯ বলে জানানো হলেও পরে সরকার নিশ্চিত করেছে যে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ সেন্ট্রাল জানিয়েছে, সামরিক বিমানটি ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এতে সুদানের সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং কিছু বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, যার ফলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়ি-ঘরের ওপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত এলাকায় বসবাসকারী কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি।
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহত ১০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। এদিকে, দমকল বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় একটি বিকট শব্দ শোনা যায়, তারপরই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সুদানে বর্তমানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। কিছুদিন আগেই আরএসএফ দাবি করেছিল যে তারা সুদানের সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর পরই আরেকটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
Leave a comment