বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ সুদান বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটে নিপতিত। দেশের উত্তর দারফুর প্রদেশে চলমান গণহত্যা ও সহিংসতা স্থানীয়দের জীবন ও বসতকে এক ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে ফেলেছে।
গত সপ্তাহে প্রদেশটির একটি শহর দখল করে নেন আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)। এই অভিযানে কমপক্ষে ১,৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র একটি হাসপাতালে মারা গেছে ৪৬০ জন। নিহতদের মধ্যে রোগী, হাসপাতালের কর্মী ও তাদের পরিবার রয়েছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চোখে পড়ে না। দরিদ্র দেশটিতে এমন বিশাল মানবিক বিপর্যয় ঘটলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর না-থাকার বিষয়টি হতবাক করার মতো।”
আহমাদুল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, “২০২৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।”তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তারা কি সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে? উন্নত কোনো দেশে যদি এমন ঘটনা সংঘটিত হতো, বিশ্ব মিডিয়া কত দ্রুত তোলপাড় করত। তবে সুদানে গরিব ও মুসলিম জনগণের জীবন কি কোনো মূল্যে বিবেচিত হচ্ছে না?”
আহমাদুল্লাহর বক্তব্যে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা । তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, “শান্তিরক্ষা ও মানবিক সহায়তার নামে বাস্তবতায় সুদানের নাগরিকরা একা। যারা আক্রান্ত, তাদের জীবন যেন কম মূল্যবান ।” সুদানে বর্তমানে হাজার হাজার পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে, হাসপাতাল, স্কুল ও অন্যান্য নাগরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা দেশটিতে সংকট আরও তীব্র করছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর হস্তক্ষেপ না হলে, সুদানের এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
Leave a comment