সুদানের পশ্চিম কর্দোফান রাজ্যের আল-নাহুদ শহরে দেশের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)–এর হাতে অন্তত ৩০০ জন নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এ হামলাকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় “মানবতাবিরোধী অপরাধ” ও “গণহত্যা” হিসেবে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেছে তারা।
শনিবার (৩ মে) প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, গত দুই দিনের অভিযানে আরএসএফ (RSF) আল-নাহুদ শহরে সাধারণ মানুষের উপর এক নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে। আরএসএফ যদিও এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে তারা দাবি করেছে—দক্ষিণ সুদানের আল-নাহুদ শহরের পর পশ্চিম কর্দোফানের এল-খুওয়েই শহরের নিয়ন্ত্রণও তারা দখল করেছে। শহর দখলের এই পালাক্রমিক ঘটনায় নতুন করে ভয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ এসব জায়গা এতদিন সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, আরএসএফ আল-নাহুদ শহরে সেনাবাহিনীর ১৮তম পদাতিক ব্রিগেডের সদর দপ্তরও দখল করে নিয়েছে। মূলত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এল-ফুলা দখলের পর থেকেই আরএসএফের দখলদারি বেড়েছে পশ্চিম কর্দোফানে। এই শহরকে তারা অস্থায়ী প্রশাসনিক রাজধানী ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে । তারা অভিযোগ করেছে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের “নম্র ও উদাসীন মনোভাব” এই বর্বরতার পথকে আরও প্রশস্ত করছে।
উল্লেখ্য, সুদানে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন গবেষকরা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট।
Leave a comment