নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংসদীয় আসন—সিলেট-১ ও সিলেট-৩—এর সীমানায় আংশিক পরিবর্তন এনেছে। ভোটার সংখ্যা ও প্রশাসনিক কাঠামোর বাস্তবতা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আসন পুনর্গঠনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যকর হবে।”
সিলেট-১ আসন দীর্ঘদিন ধরে সিলেট মহানগরীর সব ওয়ার্ড ও সিলেট সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এক সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে তা সিলেট-৪ আসনে স্থানান্তরিত হয়।
সাম্প্রতিক সীমানা পরিবর্তনে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যথারীতি সিলেট-১ এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নতুন করে ৩১ থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডও এই আসনে যুক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, এসব ওয়ার্ড এক সময় সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া, টুলটিকর ও টুকেরবাজার ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিল।
বর্তমানে সিলেট-৩ আসন গঠিত দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে। এবার নতুনভাবে এতে যুক্ত করা হয়েছে ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, যেগুলো আগে সিলেট-১ আসনের অংশ ছিল। এছাড়া পূর্বের মতোই ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নভুক্ত ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড সিলেট-৩ এর অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
এই সীমানা পরিবর্তনের ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সিলেট অঞ্চলের রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সীমানা চূড়ান্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র চিহ্নিতকরণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
Leave a comment