সিলেটের জকিগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী, সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্তরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় ২৬ জুলাই সকালে এ ঘটনা ঘটে। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় দুজনকে। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ সালিস বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গত মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তরুণেরা। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও স্থানীয় লোকজন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
Leave a comment