সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা আহমদ আল-শারা বৃহস্পতিবার একটি অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে আগামী পাঁচ বছর ইসলামি শাসনের অধীনে দেশ পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS) দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। যদিও নতুন সরকার প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তবে শারা এই সংবিধানকে “সিরিয়ার নতুন ইতিহাসের সূচনা” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা দমন-পীড়নের পরিবর্তে ন্যায়বিচার আনতে চাই, এবং দুর্ভোগের পরিবর্তে দয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
সংবিধানের মূল বিধানসমূহ:
১) রাষ্ট্রপ্রধান অবশ্যই মুসলিম হতে হবে।
২) ইসলামি শরিয়াহ হবে দেশের প্রধান বিচারিক ভিত্তি।
৩) মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
৪) বিচার, নির্বাহী ও আইনসভার স্বতন্ত্রতা বজায় রাখা হবে।
৫) রাষ্ট্রপতির একমাত্র বিশেষ ক্ষমতা থাকবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা।
আসাদ সরকারের পতন অনেকের জন্য স্বস্তির হলেও, সিরিয়ার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে নতুন ইসলামি সরকারের প্রতি সন্দেহ রয়ে গেছে। বিশেষ করে দামাস্কাসে নতুন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার বিষয়ে বিরোধীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
অস্থায়ী সংবিধান রচনার কমিটির সদস্য এবং তুরস্কের মারদিন আরতুকলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুলহামিদ আল-আওয়াক বলেছেন, এই সংবিধান সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার মধ্যে সমন্বয় তৈরি করবে। তবে একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হবে, যেখানে সিরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ কতটা থাকবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
Leave a comment