ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নজিরবিহীন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সংঘর্ষ চলাকালীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে নানা স্লোগান দিচ্ছে এবং তিনি তাদের শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায়, “একটা ছেলেও আসবা না,” যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার প্রত্যয় প্রকাশ করে।
সংঘর্ষের মধ্যেই তাকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে এবং শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় তার চোখ খুলতে না পারার কষ্টসহ একটি ভিডিও নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই সাহসী ভূমিকার জন্য তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন অনেকেই। ফেসবুকে “জেন জি” নামের একটি ভেরিফায়েড পেজে তার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, “এই ছেলেটা জানত, সংঘর্ষের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তবু সে ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে গেছে। এটাই সত্যিকারের সাহসিকতা।”
অনেক সাধারণ মানুষও তার ভূমিকাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “শীর্ষ ছাত্রনেতারা যখন ঘরে ঘুমিয়ে থাকে, তখন হাসনাত আব্দুল্লাহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছেন। এমন সাহসী ভূমিকা নেতার যোগ্যতা প্রকাশ করে।”
তবে ঘটনাটি নিয়ে এখনও হাসনাতের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ থাকায় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সক্রিয় না দেখে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনার মাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহ শুধু একজন ছাত্রনেতা হিসেবেই নয়, বরং সাহসিকতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে সবার প্রশংসা অর্জন করেছেন। সংঘর্ষ থামাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার ভূমিকা নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
Leave a comment