আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা (হেট স্পিচ) প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য প্রচার হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “শেখ হাসিনা বিদেশের মাটিতে বসে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা এই সরকার, ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং মামলার সাক্ষীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বিচার প্রক্রিয়াকে বানচালের অপচেষ্টা।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বার্তা সাক্ষীদের ভীত করতে পারে এবং তারা সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারাতে পারেন। এটি সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
চিফ প্রসিকিউটর উল্লেখ করেন যে, ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আমাদের সবার লক্ষ্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করার জন্য গণমাধ্যম এবং দেশের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
বিগত কয়েক মাসে শেখ হাসিনার কিছু বক্তব্য, যা ট্রাইব্যুনাল বা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, এ ধরনের বক্তব্য শুধু প্রচার নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এ সংক্রান্ত বিদ্বেষমূলক বিষয়গুলোর সঠিক তদন্তও চলছে।
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার শিকার ও আহত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চিফ প্রসিকিউটর দেশের জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক ও সহযোগিতাপ্রবণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কঠোর অবস্থান ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির একটি দৃষ্টান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Leave a comment