সম্প্রতি ‘ব্রেকিং নিউজ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মুল ফাইল, ডকুমেন্টস, তথ্য উপাত্তের ফাইলের কপি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে তুলে দিলাম।’ ক্যাপশনে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রচারিত ছবিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের তথ্য-উপাত্তের ফাইলের কপি, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনার নয়।
প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালে সৌদি আরবের যুবরাজ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘এক্সপো ২০২০’ এর স্থান ও নকশার মডেল পরিদর্শনকালে তার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রীম আল হাশিমীর ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ‘Tamanna Akhter Yesman’ নামক একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়েছে এবং তিনি নিজেকে প্রচারিত ছবিতে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে থাকা নারী বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সৌদি আরবের গণমাধ্যম Makkah এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির মিল রয়েছে।
উক্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায় (আরবি থেকে বাংলায় অনূদিত), সেদিন সৌদি আরবের যুবরাজ এবং তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘এক্সপো ২০২০’ এর স্থান ও নকশার মডেল পরিদর্শন করেন। এসময় নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি তার সাথে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও এক্সপো ২০২০ এর নির্বাহী পরিচালক রীম আল হাশিমী।
এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর সৌদি আরবের অনলাইন গণমাধ্যম Sabq এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই ছবি ও তথ্য পাওয়া যায়। সুতরাং, ‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের তথ্য-উপাত্তের ফাইলের কপি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে তুলে দেওয়ার’ যে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে ; তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ।
                                                                        
                                                                        
                            
                            
                                
			            
			            
 
			        
 
			        
 
			        
 
			        
				            
				            
				            
Leave a comment