সম্প্রতি বাংলাদেশি মিডিয়া এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে $৩০০ মিলিয়ন অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে এবং এই বিষয়ে তদন্ত করছে। তবে তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, এই অভিযোগের ভিত্তি দুর্বল এবং সম্ভবত পক্ষপাতদুষ্ট।
প্রথমত, যদি এফবিআই গোপনে কোনো তদন্ত চালিয়ে থাকে, তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশি মিডিয়া বা দুদকের কাছে তথ্য পৌঁছানো অসম্ভব। এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখা হয় এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না।
দ্বিতীয়ত, যদি এটি একটি উন্মুক্ত তদন্ত হতো, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস) বা এফবিআই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিবৃতি দিত। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থা থেকে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ধরনের অভিযোগ বিশ্বাস করার জন্য আন্তর্জাতিক বা নিরপেক্ষ উৎস থেকে প্রমাণ থাকা প্রয়োজন।
এছাড়া, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক নারী কর্মকর্তা এই তথ্য ফাঁস করেছেন। কিন্তু যাচাই করে দেখা গেছে যে, ওই কর্মকর্তা ২০১৩ সালে মারা গেছেন। এই তথ্যটি প্রমাণ করে যে, অভিযোগের এই অংশটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশি মিডিয়া এবং দুদকের বারবার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের ইতিহাস রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা হতে পারে। দায়িত্বশীল সংস্থা ও মিডিয়ার এই ধরনের ভিত্তিহীন এবং প্রমাণবিহীন অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
যেহেতু এই অভিযোগের পক্ষে কোনো আন্তর্জাতিক বা নিরপেক্ষ প্রমাণ নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নেই, তাই এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। বাংলাদেশের মিডিয়া এবং দুদকের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
### সূত্র:
1. RTV Online, https://www.rtvonline.com/bangladesh/306239
2. The Daily Star, https://www.thedailystar.net/…/acc-probe-hasina-joy…
3. Time Magazine, https://time.com/…/bangladesh-interim-government-sheikh…
Leave a comment