ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো জুলাই গণহত্যার বিচার । এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে রোববার (১ জুন) দুপুরে। এ বিষয়ের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় আরটিভির ফেসবুক পেজে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যা ও হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
জুলাই আগস্টজুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায়ে তদন্ত সংস্থা গেলো ১২ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে । সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও ৫টি অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সকল হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী পাঁচ অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। এই সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।
শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পুরোদমে এগোচ্ছে বিচারের কাজ। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে।
বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন দাবি করে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা অনেকটা দূর হয়েছে। অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। গ্রেপ্তার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
Leave a comment