৭ এপ্রিল পটুয়াখালীর কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান হোসেন ওরফে ফোরকান মাস্টারের বেশ কয়েকটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে অংশ নিতে, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অবস্থান নিতে।
এই ছবি প্রকাশের পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দলীয় পদে থেকেও ফোরকান মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করে গেছেন। তিনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে সুবিধা ভোগ করেছেন।
এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পরপরই কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খলিল, সদস্য ওমর ফারুক এবং ১ নম্বর সদস্য রাকিবের পরিবারের বিরুদ্ধে ফোরকান মাস্টার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খলিলকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়, ফারুকের বাসায় গিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং রাকিবের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের গালাগাল করা হয়।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “দলের আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ড করে ফোরকান মাস্টার বিএনপিকে বারবার বিব্রত করেছেন। এখন আবার তিনি ইউনিয়নে গডফাদারের ভূমিকা পালন করছেন এবং আওয়ামী লীগের লোকজনকে রক্ষা করছেন।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফোরকান মাস্টার বলেন, “আমি শিক্ষক, চাকরি বাঁচানোর জন্য সরকারের লোকজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছি। কিন্তু আমি নিজেও বিএনপি করার অপরাধে নির্যাতিত হয়েছি, আমার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আমি কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছি না।”
Leave a comment