লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মা জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে কলেজছাত্রী তানহা আক্তার মীমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বজন সোহেল রানা (৩২) কে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী।
তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে পারিবারিক ও সম্পত্তিগত বিরোধ জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আটক সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল রানা নিহত তানহার বাবা মিজানুর রহমানের আপন ভাতিজা। কয়েক মাস আগে সোহেল তার চাচার মালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভাতিজাকে মারধর করেন।
তখন মিজানের মেয়ে তানহা আক্তার মীম পিতাকে সহায়তা করতে লাঠি এগিয়ে দেন। এরপর থেকেই সোহেল ও মিজানুর রহমানের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পর সোহেল রানার গতিবিধি ও আচরণ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর সোহেল বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মূল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, সোহেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর ঢাকায় অবস্থান করার পর গত আগস্টে গ্রামে ফিরে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
ওসি আব্দুল বারী জানান, ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ একাধিক দিক বিবেচনা করে তদন্ত চালাচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে মা জুলেখা বেগম ও মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
Leave a comment