রেলওয়ের রানিং স্টাফদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। পূর্ব ঘোষণা সত্ত্বেও যাত্রা বাতিল করায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। শেষ মুহূর্তে রেল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা বিআরটিসির বাস ব্যবহার করে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
রানিং স্টাফদের কর্মসূচির আগাম ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, “কর্মসূচির বিষয়টি আগে থেকেই জানা ছিল। তবুও রেল কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল করেছে, যা যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়েছে।”
চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিদিন ৬২টি ট্রেন চলাচল করলেও কর্মবিরতির কারণে দিনভর কোনো ট্রেন চলেনি। আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার এবং পণ্যবাহী ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল করা হয়। এমনকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও কন্টেইনারবাহী ট্রেনও বন্ধ ছিল।
স্টেশন থেকে যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে কেনা টিকেটের টাকা অনলাইনেই ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কন্টেইনারবাহী ও তেলবাহী চারটি ট্রেনও নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক জানান, একদিন রেল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের শিডিউল জট তৈরি হবে।
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান এবং নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, তাদের দাবি বহু পুরনো। তিনি বলেন, “আমরা আগেও কর্মবিরতি পালন করেছি। এবার আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।”
বিআরটিসির বাস দিয়ে সাময়িকভাবে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও এ ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। রানিং স্টাফদের দাবি দ্রুত সমাধান না হলে রেলওয়ের সেবা ব্যবস্থা ও পণ্য পরিবহনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।
Leave a comment