রাজনৈতিক বিভাজন দূর করে সংলাপ ও সংহতির পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘শাহবাগী’ বলে কাউকে ফ্যাসিবাদী বা ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়।
বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে থাকা অনেকেই পরবর্তীতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং অনেকে আহত ও নিহতও হয়েছেন। শাহবাগ ও শাপলা বিভক্তির বাইরে এসে সবাইকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের নতুন প্রজন্মের অধিকাংশই পাকিস্তানপন্থী নন, ফলে তাদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা উচিত নয়। রাজনৈতিক ও আদর্শিক লড়াইয়ের মাধ্যমেই তাদের মোকাবিলা করতে হবে।
২০১৩ সালে শাহবাগের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক তরুণ যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গিয়েছিলেন, তবে আওয়ামী লীগ ও কিছু বামপন্থী শক্তি তাদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে পরে অনেকেই এই ভুল বুঝতে পেরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
হেফাজতে ইসলামের ৫ মে-এর শাপলা চত্বরের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অধিকাংশ শাপলার কর্মী জামায়াতের আদর্শ ও নেতৃত্বের বিরোধী ছিলেন, তবে জামায়াত তাদের প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করেছে, ঠিক যেমন আওয়ামী লীগ শাহবাগ আন্দোলনকে ব্যবহার করেছিল।
মাহফুজ আলম বলেন, অভ্যুত্থানের পর এখন সংলাপ ও ঐক্যের সময় এসেছে। শাপলা ও শাহবাগের বাইনারির বাইরে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি তৌহিদি জনতার নেতৃত্ব যেন চরমপন্থীদের হাতে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকার শাপলার গণহত্যার তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত।
Leave a comment